পবিত্র ঈদ উল আযহার আনন্দ-উৎসব উপভোগ করতে দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু “শেখ হাসিনা ধরলা সেতু”টির দু’পাড়ে ঢল নেমেছে বিনোদন প্রেমিদের।
লালমনিরহাট সদর ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় পবিত্র ঈদ উল আযহার দিন থেকে প্রতিদিন শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দুই পাড়ে আনন্দঘন পরিবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢলে মুখরিত হচ্ছে। বসে হরেক রকমের পণ্যের মেলা। অনেকেই আবার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি এক নজর দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন।
শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দুই পাড়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারও মানুষের সমাগম। সেতুর দুই পাড় দিয়ে পবিত্র ঈদ উল আযহার আনন্দ উপভোগ করতে শিশু, কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও পরিবার-পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ভ্যান, রিকশা, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, মাইক্রোবাস সেতুর মাঝ খানে দাঁড়িয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অনেকেই ধরলায় ছোট। ছোট ডিঙি নৌকায় চড়ে পবিত্র ঈদ উল আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। কেউ কেউ আবার ধরলার চরগুলোতেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সেতুর দুই পাড়ে ফুচকা, চানাচুর, আইক্রিমের দোকানের পাশাপাশি চুড়ি ফিতা ও বেলুনসহ বিভিন্ন রকমারীর দোকান বসেছে। সবগুলো দোকানেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। পবিত্র ঈদ উল আযহায় প্রিয়জনদের সাথে খানিকটা বিনোদন ও ভালো লাগার অনুভূতি পেতে হাজারও মানুষের ঢল নামে।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল এ সেতুটি। লালমনিরহাট সদর ও ফুলবাড়ীবাসীর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এ পবিত্র ঈদ উল আযহায় সেতু পাড়ে হাজারও মানুষের ঢলে মূখরিত। কিন্তু সব মানুষেই সেতুর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া ও ধরলায় ডিঙি নৌকা ভেসে বেড়ানোই হয়েছে। কোনো দর্শনার্থী কোথাও শান্তিমত বসে গল্প ও আড্ডা দিতে পারেনি। তাই সেতু পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র ও সেতুর দুই পাড়ে ধরলার তীররক্ষা বাঁধের দুই পাশে বেঞ্চ জাতীয় কিছু বসার ব্যবস্থা করা দরকার। এতে দর্শক সমাগম বাড়তো। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল ছাড়াও এখানে প্রতিদিন বিকেলে শতশত দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার গোধুলি বেলায় সূর্যের অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটা মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে যায়।
কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির, মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দুই পাড়ে আগত দর্শনার্থীদের জন্য বেঞ্চ ও ছাতা জাতীয় কিছু অবকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। সেই সাথে সুপেয় পানি ও স্যানিটারী ল্যাট্টিনে ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ৩ জুন সকাল ১১টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটির শুভ উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে উক্ত সেতুটি।